জাতীয় দল থেকে ছুটি পেয়ে দুই দিনের জন্য সুইডেনের স্টকহোমে বেড়াতে যান ফরাসি ফুটবল তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে। সেই ঘুরতে যাওয়াই কাল হয় এমবাপ্পের জন্য। এসময় ধর্ষণে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।গত অক্টোবরের শুরুতে সেই অভিযোরে পর শুরু হয় তদন্ত। তবে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ না মেলায় দুই মাস পর এমবাপ্পেকে ধর্ষণের অভিযোগ থেকে অব্যহতি দিলেন সুইডিশ কৌঁসুলিরা। খবর বিবিসির।
এমবাপ্পের প্রতিনিধিরা অবশ্য শুরু থেকেই ধর্ষণের অভিযোগ ‘পুরোপুরি মিথ্যা’ বলে দাবি করেন। এমনকি সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে একই কথা বলেন এমবাপ্পে। রিয়াল মাদ্রিদ তারকার এই দাবিই শেষ পর্যন্ত সত্য প্রমাণিত হলো।
এক বিবৃতিতে প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা মারিনা সিরাকোভা জানান, সুইডিশ রাজধানীর হোটেলে সংঘটিত ঘটনায় তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার মতো যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ তাদের কাছে নেই।
তিনি বলেন, তদন্তের সময় সুপরিচিত এক ব্যক্তিকে যুক্তিসংগত কারণে ধর্ষণ এবং যৌন নিপীড়নের দুটি ঘটনায় সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়। তবে আমার মূল্যায়ন হচ্ছে, তদন্ত এগিয়ে নেওয়ার মতো যথেষ্ট প্রমাণ হাতে নেই। এ কারণে এই তদন্তপ্রক্রিয়া বন্ধ করা হলো।
পাশাপাশি সেই পরিচিত ব্যক্তি, অর্থাৎ এমবাপ্পের কোনো ধরনের অপরাধে সংশ্লিষ্ট না থাকার কথাও নিশ্চিত করেন তিনি।
সে সময় সুইডিশ কৌঁসুলিরা ধর্ষণের অভিযোগে তদন্ত শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করলেও সন্দেহভাজন কারও নাম প্রকাশ করেনি। তবে একাধিক সুইডিশ সংবাদমাধ্যম, রিয়াল মাদ্রিদ ও ফ্রান্সের এই তারকা ফরোয়ার্ডের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে তদন্ত শুরু হওয়ার কথা নিশ্চিত করে।