সম্প্রতি ইসলামাবাদে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আগামী ১৩ ডিসেম্বর পেশোয়ারে মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। খবর ডনের।
গত ১৩ নভেম্বর পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা কারান্তরীণ ইমরান খান দেশজুড়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভের ডাক দেন। প্রধান তিনটি দাবি পেশ করে ২৪ নভেম্বরকে সামনে রেখে তিনি সরকারের বিরুদ্ধে ‘চূড়ান্ত ডাক’ দেন। পিটিআইয়ের নির্বাচনি রায় পুনর্বহাল, দলের নেতাকর্মীদের মুক্তি এবং ২৬তম সংশোধনী রদ করার দাবি জানিয়ে এই চূড়ান্ত ডাক দেওয়া হয়। ২৬তম সংশোধনীর কারণে দেশে স্বৈরশাসন কায়েম হয়েছে বলে আগে থেকেই প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলেন ইমরান।
ইসলামাবাদে ‘চূড়ান্ত ডাক’ কর্মসূচিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে ১২ জন সমর্থকের মৃত্যুর দাবি জানায় পিটিআই। তবে সরকার বারবার এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানায় নিরাপত্তা বাহিনীকে সেখানে ‘লাইভ অ্যামুনিশন’ ছাড়াই মোতায়েন করা হয়েছিল।
তবে ইমরান খান তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স অ্যাকাউন্টে অভিযোগ করেন, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের কারণে তার সমর্থকরা নিহত হয়েছে। তিনি বলেন, দেশে স্বৈরতন্ত্র কায়েম হয়ে গেছে। ইমরান খান তার বার্তায় বলেন, ‘আমাদের কয়েকশ নেতাকর্মী এখনও নিখোঁজ রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টকে এখন বিষয়টি দেখতে হবে এবং সাংবিধানিক ভূমিকা পালন করতে হবে।’ তিনি আরো বলেন ‘আমরা সুপ্রিম কোর্ট, লাহোর হাইকোর্ট ও ইসলামাবাদ হাইকোর্টে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলো তুলে ধরেছি। তবে আদালত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি এবং দেশ এই অবস্থানে পৌঁছেছে।’
ইমরান খানের বার্তায় শুধু সমাবেশের কথা বলা হয়নি, এতে আলোচনার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি দলের নামও ঘোষণা করা হয়েছে, যার সদস্যরা হলেন–ওমর আইয়ুব খান, আলি আমিন গান্দাপুর, সাহেবজাদা হামিদ রাজা, সালমান আকরাম রাজা ও আসাদ কায়সার।
ইমরান খান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এই দাবি দুটি গ্রহণ না করা হলে আগামী ১৪ ডিসেম্বর থেকে নাগরিক অনাস্থার আন্দোলন শুরু হবে। তিনি আরও বলেন, ‘এই আন্দোলনের ফলাফলের জন্য দায়ী থাকবে সরকার।’