৩৮ টেস্টের ক্যারিয়ারে ১৩বার পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেলেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। যেখানে পাঁচ হাফ সেঞ্চুরির বিপরীতে করেছেন ৮টি সেঞ্চুরি। পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংসকে সেঞ্চুরিতে রূপান্তর করার রেকর্ডে বাংলাদেশে সবার উপর আছেন শান্ত। সিলেট টেস্টে সেঞ্চুরি পাওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশংসায় ভাসছেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক। সাংবাদিকের প্রশংসার প্রতিউত্তরে শান্ত বললেন, ‘এত ভালো কথা শোনার অভ্যাস নেই।’ সেই সঙ্গে এও মনে করিয়ে দিলেন ক্যারিয়ারে ১০০ কিংবা ১৫০ টেস্ট খেলার পরও যদি এমন ধারাবাহিক থাকতে পারেন তাহলে সেটা তাঁর ভালো লাগবে।
বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ১৩ টেস্ট সেঞ্চুরি করেছেন মুমিনুল হক। সেই হিসেবে বাংলাদেশের সাবেক টেস্ট অধিনায়কের চেয়ে এখনো পাঁচটা সেঞ্চুরি কম শান্তর। বাঁহাতি ব্যাটারের চেয়ে বেশি টেস্ট সেঞ্চুরি আছে মুশফিকুর রহিম ও তামিম ইকবালের। তবে পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংসকে সেঞ্চুরিতে রূপান্তর করার রেকর্ডে তাদের সবার উপরে শান্ত। টেস্টে ৬১.৫৪ শতাংশ হাফ সেঞ্চুরিকে রূপান্তর করেছেন তিনি। বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে সেই তালিকায় দুইয়ে আছেন মোহাম্মদ আশরাফুল।
তবে পঞ্চাশ থেকে এক শতে যাওয়া নিয়ে নাকি খুব একটা চিন্তা করেন না নাজমুল। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিলেটে প্রথম টেস্টের পর তাঁর দাবি অন্তত তেমনই, ‘চিন্তা করে করি না, চেষ্টা করি যখন থিতু হই, চেষ্টা থাকে যে কীভাবে আমি বড় রান করতে পারি দলের জন্য।’
অধিনায়ক হিসেবেও নাজমুলের সময়টা কাটছে অবিশ্বাস্য ভালো। ৮ সেঞ্চুরির ৪টিই তিনি পেয়েছেন নেতৃত্বে থাকতে। অধিনায়ক হিসেবে বাংলাদেশের মধ্যে তাঁর চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি আছে শুধু মুশফিকুর রহিমের, তিনি আবার নাজমুলের দ্বিগুণের বেশি ইনিংসে ব্যাট করেছেন।
বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৯৯ টেস্ট খেলেছেন মুশফিকুর রহিম। ডানহাতি উইকেটকিপারের পরে আছেন মুমিনুল (৭৪ টেস্ট), সাকিব আল হাসান (৭১ টেস্ট) এবং তামিম (৭০ টেস্ট)। সেই তালিকায় এখনো বেশ পেছনে শান্ত। ৯৯ টেস্ট খেলার সুযোগ এলে সেটাকে ১০০তে নিয়ে যেতে চান তিনি। তবে সেটার জন্য সুস্থ থাকার পাশাপাশি ধারাবাহিকভাবে পারফর্মও করতে হবে বলে জানান বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক।
বাঁহাতি এই ব্যাটার বলেন, ‘৯৯টা তো অবশ্যই না, ৯৯টা হলে আমি ১০০টা (টেস্ট) খেলতে চাইব। কিন্তু সুস্থ থাকতে হবে, পারফরম্যান্সটা ধারাবাহিকভাবে করতে হবে। এত লম্বা চিন্তা করতে চাই না কারণ আমরা খুবই কম টেস্ট ম্যাচ খেলি। গত কয়েক বছরে হয়ত আমরা একটু বেশি খেলা শুরু করেছি। সুতরাং চেষ্টা থাকবে একেকটা ম্যাচে কীভাবে আমি দলের জন্য অবদান রাখতে পারি।’