শনিবার (১ নভেম্বর) লিভারপুলের বিপক্ষে অ্যাস্টন ভিলার হারের দায় অনেকটাই মার্টিনেজের ওপরেই বর্তায়। নিজেদের পোস্টে নিজেই বিপদ ডেকে এনেছিলেন এই গোলরক্ষক। মূলত তার অমনোযোগের কারণেই গোল হজম করতে হয় অ্যাস্টন ভিলাকে।
ডিফেন্সে থাকা সতীর্থের উদ্দেশে্্য বল বাড়াতে গিয়ে একটু জোরে মেরে ফেলেন তিনি। বলটি সরাসরি পৌঁছে যায় ডি বক্সে থাকা সালাহর পায়ে, আর এক টাচে সেখান থেকেই গোল আদায় করেন মিসরীয় ফরোয়ার্ড।
অ্যানফিল্ডে দ্বিতীয়ার্ধে আরও একটি গোল হজম করে অ্যাস্টন ভিলা। ২–০ গোলে পিছিয়ে থেকে পয়েন্ট টেবিলের নিচের দিকে নেমে যায় দলটি। স্বাভাবিকভাবেই, ভিলার এই হার বা পিছিয়ে পড়ার দায় এসে পড়ে মার্তিনেজের ঘাড়ে।
গোলরক্ষকের ওই ভুলে ম্যাচ শেষে কোচ উনাই এমেরি বেশ বিরক্ত ছিলেন। বার্মিংহাম লাইভকে তিনি বলেন, ‘পাউ তখন ঠিক জায়গায় ছিল, পাস নেওয়ার জন্য প্রস্তুতও ছিল। কিন্তু আজ (কাল) ভুল হয়েছে। পরের ম্যাচগুলোয় এই ভুলগুলো থেকে শিখে আরও শক্ত দল হয়ে ফিরতে হবে।’
এমেরি আরও বলেন, ‘আমাদের এমন বড় ভুল এড়িয়ে চলতে হবে। প্রথম গোলটাই খেলায় পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।’
মার্টিনেজকে অবশ্য কোচের মতো বিনয়ী মনে হয়নি। ইনস্টাগ্রামে নিজের দুটি সাদা-কালো ছবি দিয়ে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আমি হারি না। আমি হয় জিতি, নয় শিখি।’
গুঞ্জন ছিল, এই গ্রীষ্মেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যেতে চেয়েছিলেন মার্টিনেজ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ইউনাইটেড তাকে না নিয়ে দলে নেয় বেলজিয়ামের তরুণ গোলরক্ষক সেনে লামেন্সকে। যে কারণে বার্মিংহামেই থেকে যেতে হয় আর্জেন্টাইন এই গোলরক্ষককে।