জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রমে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো অনশন করছেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনের সংগঠক এ কে এম রাকিব বলেন, ‘শাটডাউন কর্মসূচিতে সব ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। কিন্তু মেডিকেল সেন্টার, প্রশাসনিক কিছু কাজ চলবে। যদি বুধবার আমাদের দাবি পুরোপুরি না মানে আমরা আবার কঠোর কর্মসূচিতে যাব। আমরা বিন্দুমাত্র পিছনে হাটবো না আর।’
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি
১. সেনাবাহিনীর কাছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তরের চুক্তি অনতিবিলম্বে সই করতে হবে। প্রয়োজনে বিশেষ বৈঠকের মাধ্যমে তা শেষ করতে হবে এবং ভিজ্যুয়ালি সবার সামনে তা উপস্থাপন করতে হবে। শিক্ষার্থীরা অনশনে থাকা অবস্থায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লিখিত অঙ্গীকার নিয়ে তা প্রকাশ করতে হবে। কয়েক মাস সময় নেওয়ার নাম করে কোনো প্রকার দীর্ঘসূত্রতার বন্দোবস্ত করা চলবে না
২. পুরান ঢাকার বাণী ভবন ও ড. হাবিবুর রহমান হলের স্টিল বেজড ভবনের কাজ দ্রুত শুরু এবং শেষ করতে হবে।
৩. যতদিন পর্যন্ত আবাসন ব্যবস্থা না হয়, ততদিন ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর আবাসন ভাতা নিশ্চিত করতে হবে।
এর আগে সোমবার প্রায় ৩৫ ঘণ্টা পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে অনশন প্রত্যাহার করলেও দাবি না মানা পর্যন্ত শাটডাউন কর্মসূচি চালিয়ে যাবার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।