সংবিধান সংস্কার কমিশনের কাছে সংবিধানের সূচনা থেকে শুরু করে তফসিল পর্যন্ত মোট ৬২ জায়গায় সংশোধী, সংযোজনীর প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি।
এ বিষয়ে দলের অবস্থান তুলে ধরতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সংসদ ভবনে যান। তারা সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রধান ড. আলী রিয়াজের নেতৃত্বাধীন কমিটির সঙ্গে পৌনে এক ঘন্টা ব্যাপী বৈঠক করেন।
পরে দলটির প্রস্তাবনার বিষয়ে বিফ্রিংয়ে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, "বিএনপির প্রস্তবনায় ব্যালেন্স অব পাওয়ারের কথা বলা হয়েছে। সংস্কার কমিটি সুপারিশ চূড়ান্ত করে সরকারকে দেবে। তারপর নির্বাচিত সরকার এসে এসব সংশোধন করবে।" তিনি বলেন, "আমরা প্রস্তাবনার মূল অংশে রাজনৈতিক ক্যারেক্টার পরিবর্তন করার বিষয়ে প্রস্তাবনা করেছি। জনগণেরর যে আকাংঙ্খা এবং জুলাই আগস্টের যে শহীদের রক্তের অঙ্গিকার তার চেতনাকে মাথায় রেখে ভবিষ্যতে যাতে একনায়কতন্ত্রের সৃষ্টি না হয় সেগুলো মাথায় রেখে আমরা প্রস্তাবনাগুলো দিয়েছি।"
অপরদিকে কমিশন প্রধান আলী রিয়াজ বলেন, "সংবিধান সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে আগামী সপ্তাহে সারাদেশে জরিপ করা হবে। গ্রাম থেকে শহর, তরুণ থেকে বৃদ্ধ সকলের মতামত নেয়া হবে।"
অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বাধীন সংবিধান সংস্কার কমিশন লিখিতভাবে সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাব পাঠাতে রাজনৈতিক দলগুলোকে অনুরোধ করেছিল। একইসাথে এই কমিশন ইতোমধ্যে বিশিষ্ট নাগরিকসহ অন্যান্য অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় শুরু করেছে।
সংবিধান সংস্কার এই সরকার করতে পারবে নাকি এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থানী কমিটির এই সদস্য বলেন, সংবিধান সংস্কার কমিশন তাদের রিকমেন্ডেশন সরকারের কাছে প্রদান করবে। এরপর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা সব রাজনৈতিক দল, বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত করবেন। চূড়ান্ত করার পরে দেখা যাবে অধিকাংশই একমত পোষণ করেছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তো দিমত থাকতেই পারে। যেসব বিষয় ঐক্যমত হবে, সেগুলো আমরা যদি অঙ্গীকার করি এবং নির্বাচনী ম্যানিফেস্টোতে প্রতিফলন করি তাহলে সবার একটা অঙ্গীকার থাকবে। পরবর্তী পার্লামেন্টের যারা আসুক তারা সেইভাবেই পরিবর্তন করবে।