আয়রন শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খনিজ। এটি শুধু রক্ত তৈরি নয়, শরীরের শক্তি উৎপাদন থেকে শুরু করে মস্তিষ্কের স্নায়ুর কার্যক্রম পর্যন্ত সবকিছুর সঙ্গেই জড়িত। তাই শরীরে আয়রনের ঘাটতি মানেই একাধিক শারীরিক জটিলতা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশেষত আয়রনের অভাব হলে দেখা দেয় ক্লান্তি, মাথা ঘোরা, শ্বাসকষ্ট ও দুর্বলতা। যাকে চিকিৎসা পরিভাষায় বলা হয় অ্যানিমিয়া।
আয়রন শরীরে রেড ব্লাড সেল (লাল রক্তকণিকা) তৈরিতে সাহায্য করে এবং অক্সিজেনকে সারা শরীরে পৌঁছে দেয়। তাই এই খনিজের ঘাটতি পূরণ করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সুখবর হলো, ওষুধ নয়, খাদ্যেই মিলবে সমাধান।
পালং শাক
আয়রনের ঘাটতি পূরণে পালং শাকের জুড়ি মেলা ভার। ১০০ গ্রাম পালং শাকে প্রায় ২.৭ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে। এটি শুধু রক্ত বাড়ায় না, শরীরকে শক্তিও দেয়। সালাদ, ভাজি বা স্যুপ, যেভাবেই খান না কেন, উপকার মিলবে নিশ্চিত।
বিট
বিটে রয়েছে আয়রন, ফলিক এসিড ও ফাইবার। প্রতিদিন একটি বিটরুট খেলে রক্তের ঘাটতি কমে যায়। জুস, সালাদ, রায়তা বা পরোটা, যেভাবে খুশি ডায়েটে রাখতে পারেন।
ডালিম
পালং শাকের পাশাপাশি ডালিমও শরীরে আয়রনের মাত্রা বাড়ায়। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, ই ও ফাইবার, যা রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। ডালিমের দানা খাওয়া বা তার জুস পান করা-দুইভাবেই রক্তের ঘাটতি পূরণে কার্যকর।
খেজুর
খেজুরকে বলা হয় প্রাকৃতিক আয়রন সাপ্লিমেন্ট। এটি শুধু রক্ত বাড়ায় না, নতুন রক্তকণিকা তৈরি করতেও সাহায্য করে। অ্যানিমিয়ায় ভোগা মানুষদের জন্য প্রতিদিন এক মুঠো খেজুরই যথেষ্ট।
এই দেশি খাবারগুলো শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর করে প্রাকৃতিকভাবে শক্তি ও এনার্জি ফিরিয়ে দেয়। ওষুধের পরিবর্তে যদি এই খাবারগুলো নিয়মিত ডায়েটে রাখা যায়, তাহলে রক্তস্বল্পতার সমস্যা অনেকাংশে কমে যাবে।
সূত্র : আজতক বাংলা