গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা মামলায় মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। গতকাল শুক্রবার রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) উপকমিশনার রবিউল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন, ফয়সাল ওরফে কেটু মিজান, তার স্ত্রী গোলাপী বেগম, স্বাধীন, আল আমিন ও সুমন।
রবিউল হাসান বলেন, কেটু মিজান ও তার স্ত্রী গোলাপী বেগমকে গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর এলাকা থেকে, আল আমিনকে রাজধানীর উত্তরার তুরাগ এলাকা থেকে এবং স্বাধীনকে হোতাপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া সুমন নামে আরও এক আসামিকে চাপাতি ও সুইচ গিয়ারসহ গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা।
পরে মামলার অন্য দুই আসামিকেও গ্রেপ্তার করা হয়। পাবনার পাচবাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা ও ভাড়াটিয়া মো. ফয়সাল হাসান (২৩) এবং কুমিল্লার হোমনা থানার বাসিন্দা মো. শাহ জালালকে (৩২) ময়মনসিংহের গফরগাঁও থানা থেকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া সবাইকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানাতে আজ বেলা ১১টা মিনিটে গাজীপুরের পোড়াবাড়ী ক্যাম্পে অবস্থিত সিপিএসসিতে (CPSC) ব্রিফ করবেন র্যাব-১-এর কোম্পানি কমান্ডার এসপি কে এম এ. মামুন খান চিশতী।
পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের ঘটনার কিছুক্ষণ পরই স্থানীয় একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। সেই ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হয়। এরপর তাদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের তিনটি দল ভিন্ন ভিন্ন এলাকায় অভিযানে নামে।