ঘুম থেকে উঠে কোন কাজ করা উচিত, কোনটি উচিত না, তা হয়তো অনেকেই জানেন না। ঘুম ভাঙলেই মোবাইলে চোখ রাখি। বিছানায় আলস্য ভরে শুয়ে শুয়ে ফোন ঘাঁটাঘাঁটি করেন অনেকক্ষণ। এরপর গরম চা বা কফিতে চুমুক দিয়ে শুরু হয় দিনের যাত্রা। কিন্তু কিছু কাজ আছে, যেগুলো ঠিক নয়।
চিকিৎসকদের তথ্যমতে, ঘুম থেকে উঠেই আমরা এমন কিছু কাজ করি যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। উৎসাহ আর উদ্দীপনাকে কমিয়ে দেয় এসব অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস। ফলে সারারাত ভালো ঘুম হলেও সকালে তরতাজা লাগে না। কাজে মন বসে না। নিচে কয়েকটি বিষয় আলোচনা করা হলো।
তাড়াহুড়ো করে বিছানা ছাড়া : অনেকেই ঘুম ভাঙার পর হুড়োহুড়ি করে বিছানা ছাড়েন। চিকিৎসকরা বলছেন, এই অভ্যাস ভালো নয়। ঘুম ভাঙলেই হুড়োহুড়ি করে উঠবেন না। ধীরে ধীরে পাশ ফিরে উঠুন। দুই-তিন মিনিট বিছানায় বসে থাকুন। এরপর ফ্লোরে পা রাখুন। প্রথমে এক পা ফ্লোরে রাখুন, এরপর অন্য পা। ঘুমের সময় আমাদের হৃৎস্পন্দনের হার কম থাকে, রক্ত সঞ্চালনও ধীর গতিতে হয়। তাই জেগে ওঠার পর শরীরকে সেই অবস্থার সঙ্গে আগে মানাতে হয়। হঠাৎ করে বিছানা থেকে নেমে হাঁটাচলা শুরু করলে আচমকা রক্তচাপ কমে যেতে পারে, মাথা ঘুরে পড়েও যেতে পারেন।
ঘুম থেকে উঠেই ফোন হাতে নেওয়া : এ অভ্যাসটা আমাদের অনেকেরই রয়েছে। ঘুম চোখেই ফোন ঘাঁটতে থাকলে তার প্রভাব পড়ে চোখে। সারা রাত বিশ্রামের পরই যদি মোবাইলের নীল আলো চোখে পড়ে তাহলে চোখের আর্দ্রতা নষ্ট হয়ে যায়। কিছুক্ষণ মোবাইল ফোনে চোখ রাখলেই দেখবেন চোখ জ্বালা করবে, চোখ দিয়ে পানি পড়বে, চুলকানি হবে। এ ছাড়া রোজকার এই অভ্যাস ‘স্ট্রেস হরমোন’-এর ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয় দিনের শুরুতেই। ফলে দেহের তরতাজা ভাবই নষ্ট হয়ে যায়। আরও বেশি আলস্য চেপে ধরে।
সকালের নাশতা না করা : অনেকেই তাড়াহুড়া করে সকাল শুরু করেন। কাজের ব্যস্ততায় সকালে নাশতা করেন না। পুষ্টিবিদদের মতে, সারা দিনের খাবারের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আহার সকালের। সকালে কিছু না খেলে ওজন বাড়তে থাকে। দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকার পর খাবার খেলে, রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। তাই সকালে না খাওয়ার অভ্যাস টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।