বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সীমান্তে কোনো ঝুঁকি নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি জানান, যে কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা রুখে দিতে প্রস্তুত রয়েছে বিজিবি।
শনিবার (১ মার্চ) দুপুরে কক্সবাজারে উখিয়ায় বিজিবির ব্যাটালিয়নের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে পণ্য আনার সময় সিটওয়েতে মিয়ানমার সরকার ও পরে নাফ নদীর সীমান্ত অতিক্রমের সময় আরাকান আর্মিকে ট্যাক্স দিতে হচ্ছে। আর সীমান্তে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে মিয়ানমার সরকার ও আরকান আর্মি উভয় পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হচ্ছে। এটি একটি বড় সমস্যা এবং তা সমাধানে সরকার কাজ করছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কক্সবাজারে অপহরণের প্রবণতা অনেক বেশি। দেশে ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গাদের অনেকে অপহরণসহ বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। রোহিঙ্গাদের যত দ্রুত নিজ দেশে ফেরত পাঠানো যাবে ততই আমাদের জন্য মঙ্গল। তারাই সমস্যা বৃদ্ধি করছে। তাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফেরত পাঠানোর চেস্টা করছি আমরা (সরকার)।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সীমান্ত হত্যা বন্ধের ব্যাপারে কিছুদিন আগে অনুষ্ঠিত বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলনে সবচেয়ে কিন্তু বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তারপরেও কিন্তু সীমান্ত হত্যার মতো ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। এটা কমানোর জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। যেহেতু এটা পুরোপুরি আমাদের হাতে নাই কারণ অস্ত্রটা তো তারা ব্যবহার করছে। আপনারা যা চাচ্ছেন আমি তো সেটা অফিসিয়ালি বলতে পারছি না।
সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের প্রেক্ষিতে বিতর্কিত ভূমিকার কারণে কক্সবাজারের চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনজুর কাদের ভূঁইয়াকে আজকের মধ্যেই প্রত্যাহারের জন্য আদেশ দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
সভায় সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি), আনসার, কারা অধিদফতর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কক্সবাজার জেলার দফতর ও সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।