চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপারের ও গণমাধ্যমের আন্তরিক প্রচেষ্টায় অবশেষে পরিচয় শনাক্ত হলো পথশিশু আব্দুল খালেকের। সে তার মায়ের কোলে ফিরেছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে তার পরিবারের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়।
গত কয়েকদিন আগে চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় ট্রেন থেকে পড়ে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল এই পথশিশুটি। তাকে দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিশুটির নাম প্রাথমিকভাবে অনিক জানা গেলেও পরে তার আসল নাম আব্দুল খালেক বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। তার বাড়ি খুলনা ইউনিভার্সিটি এলাকার পেছনে।
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা, বিপিএম-সেবা'র নির্দেশনায় শুরু হয় শিশুটির পরিচয় শনাক্তকরণের কাজ। বিভিন্ন গনমাধ্যমে দেখে এবং খবর পেয়েই আব্দুল খালেকের মা জেসমিন বেগম টুনি এবং তার চাচি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ছুটে আসেন। পরিবারের সদস্যরা তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে জীবিত অবস্থায় পেয়ে আপ্লুত হয়ে যান।
চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা শিশুটির পরিবারকে নগদ ১৫ হাজার টাকা চিকিৎসার জন্য দেন। এছাড়াও, সমাজসেবা কর্মকর্তা যাতায়াত বাবদ নগদ ৫ হাজার টাকা দেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা (ডিএসবি)'র সদস্যবৃন্দ এবং গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতিতে শিশুটিকে তার পরিবারের হাতে হস্তান্তর করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য পরিবারকে খুলনা মেডিকেল কলেজে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।