দেশের সবচেয়ে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। উত্তরের ঠান্ডা বাতাসের কারণে জেলাজুড়ে শীতের তীব্রতা অব্যাহত রয়েছে।
শুক্রবার পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এই মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
এবার এ মৌসমের দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এটি। ঘন কুয়াশায় ঢেকে রয়েছে সমগ্র অঞ্চল। হিমশীতল বাতাসে হাড় কাঁপানো তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এলাকার জনজীবন। কনকনে হাড় কাঁপানো শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে এ অঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষ। হিমশীতল বাতাসে হাত পা অবশ হয়ে আছে। কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে কাবু হয়ে পড়েছেন কর্ম ও শ্রমজীবী মানুষ।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ে ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এটি এই শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এবং সারাদেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতা ৮৩ শতাংশ ও বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৯ থেকে ১০ কিলোমিটার। এর আগে বুধবার পঞ্চগড়ে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে জানুয়ারীর শুরু থেকে পঞ্চগড়ে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ ৭ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে।
তীব্র শীতে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন জেলার নিম্ন আয়ের মানুষরা। খড়কুটো জ্বালিয়ে তারা শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। জীবিকার তাগিদে অনেকে আবার শীত উপেক্ষা করেই কাজে যাচ্ছেন।
এদিকে শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগ। সর্দি, জ্বর, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মানুষজন জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা শীতজনিত রোগে বেশী আক্রান্ত হচ্ছে।