ইসরায়েলের কারাগারগুলো থেকে ৯০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। গতকাল রোববার যুদ্ধবিরতি কার্যকরের দিনে চুক্তির শর্ত অনুযায়ী তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে নারী ও শিশুরাই রয়েছেন।
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপের অংশ হিসেবে ৯০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের জেল সার্ভিস।
এদিকে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম দিনেই ৯০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তারা সবাই নারী বা শিশু। মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের মধ্যে রয়েছে খালিদা জারার নামের একজন রাজনীতিবিদ। তিনি অধিকৃত পশ্চিম তীরে পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইন (পিএফএলপি) এর নেতা।
এর আগে রোববার যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরে হামাস রেড ক্রসের কাছে তিন ইসরায়েলি বন্দিকে তুলে দেয়। পলে তাদেরকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। হামাস বলছে, গাজা থেকে প্রতিজন বন্দির মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগার থেকে ৩০ জন করে ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে।
ফিলিস্তিনি বন্দি ও সাবেক বন্দি বিষয়ক কমিশন এবং প্যালেস্টানিয়ান প্রিজনার্স সোসাইটি অনুসারে, বর্তমানে দখলকৃত পশ্চিম তীরের ১০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি রয়েছেন। তবে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের সময় অবরুদ্ধ এ উপত্যকা থেকে ঠিক কত ফিলিস্তিনিকে আটক করা হয়েছে সে সংখ্যা অজানা।
এদিকে যুদ্ধবিরতির ফলে গাজায় অস্থায়ী শান্তি ফিরে এসেছে। তবে বন্দিবিনিময় প্রক্রিয়ার সফল বাস্তবায়নের ওপর এ শান্তির স্থায়িত্ব নির্ভর করছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।