নিপীড়কের বিনাশ করে দুর্বলের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালন করতে পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ— এমন বিশ্বাস পোষণ করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। শ্রীকৃষ্ণের এই আবির্ভাব তিথি শুভ জন্মাষ্টমী হিসেবে পালন করা হয়।
আজ শনিবার (১৬ আগস্ট) সারাদেশে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দ-উৎসবের মধ্যদিয়ে দিনটি পালন করছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
হিন্দু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী, ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে মহাবতার শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটে। বিশ্বাস করা হয়, পাশবিক শক্তি যখন ন্যায়নীতি, সত্য ও সুন্দরকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়েছিল, তখন মানবকল্যাণ ও ধর্ম প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি জন্ম নেন।
শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে সকাল আটটায় চন্ডিপাঠ ও গীতাযজ্ঞের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। বিকেল তিনটায় রাজধানীর পলাশীর মোড়ে ঐতিহাসিক কেন্দ্রীয় জন্মাষ্টমী মিছিল উদ্বোধন করবেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান, বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান ও নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. মঈন খান। রাতে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে অনুষ্ঠিত হবে শ্রীকৃষ্ণ পূজা।
বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ ও মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি জানিয়েছে, দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।