তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী দ্রুত পাসের দাবি

তরুণ প্রজন্মের সুস্থ ভবিষ্যৎ নিশ্চিতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী দ্রুত পাসের দাবি জানিয়েছে তামাক বিরোধী শিক্ষক ফোরাম।

শনিবার সকাল ১১টায় বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে নারী মৈত্রী আয়োজিত ‘তামাক বিরোধী শিক্ষক ফোরাম’ গঠন বিষয়ক সভায় এ দাবি জানান তারা।

নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আকতার ডলির সভাপতিত্বে বিভিন্ন বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত তামাক বিরোধী শিক্ষক ফোরাম এর আহ্বায়ক ছিলেন ড. খালেদা ইসলাম, পরিচালক, পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সহ-আহ্বায়ক ছিলেন তনুশ্রী হালদার, সহযোগী অধ্যাপক বাংলাদেশ শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও শামীমা নাসরীন, প্রভাষক, বাংলা আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ।

এতে নারী মৈত্রীর প্রকল্প সমন্বয়ক নাসরিন আক্তার বলেন, প্রতিদিন তামাক সেবনের কারণে বাংলাদেশে ৪৪২ জন মানুষ প্রাণ হারান। এই মর্মান্তিক পরিসংখ্যান আমাদের জনস্বাস্থ্য ও জীবন রক্ষার ক্ষেত্রে এক গভীর সংকট সৃষ্টি করেছে। যদিও বাংলাদেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক অন টোব্যাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি) স্বাক্ষরকারী প্রথম দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম, তবুও ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতকরণ এবং তামাকজাত পণ্যের বিজ্ঞাপন ও প্রণোদনা নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে সর্বোত্তম মান অর্জনে আমরা এখনো পিছিয়ে আছি। তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শরীরের এমন কোনো অঙ্গ নেই যা রক্ষা পায়। তামাক সেবনের ফলে ক্যান্সার, হৃদরোগ, ফুসফুসের রোগসহ অসংখ্য অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়। তাই, এসব রোগ মোকাবিলায় তামাক নিয়ন্ত্রণের কোনো বিকল্প নেই।

তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রস্তাবিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের ছয় সংশোধনী দ্রুত পাস এবং কার্যকর করা অতি জরুরি। এর মধ্যে পাবলিক প্লেসে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বিলুপ্ত করা, তামাক পণ্যের প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা, ই-সিগারেটের আমদানি, উৎপাদন, ব্যবহার ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করা, তামাক কোম্পানির যেকোনো ধরনের সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কর্মসূচি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা, বিড়ি-সিগারেটের খুচরা শলাকা, মোড়কবিহীন এবং খোলা ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ করা এবং সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০% থেকে ৯০% বাড়ানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। একই সাথে বাংলাদেশ সরকারকে ইতিমধ্যেই ই-সিগারেট আমদানি নিষিদ্ধে চমৎকার উদ্দ্যোগ গ্রহণ করার জন্যও ধন্যবাদ জানান তিনি।

ফোরামের আহ্বায়ক ড. খালেদা খানম বলেন, অল্প বয়সে ধূমপানে আসক্ত হওয়া কিশোর-কিশোরীদের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা দিনদিন অবনতির দিকে যাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার 'গ্লোবাল ইয়ুথ টোব্যাকো জরিপ' অনুযায়ী, ১৩ থেকে ১৫ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে ধূমপানের হার বাংলাদেশ, ভারত এবং ইন্দোনেশিয়াতে সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশে প্রায় ১২ শতাংশ কিশোর-কিশোরী নিয়মিত ধূমপানে আসক্ত, যা দেশের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি গুরুতর সংকেত। অতএব, যুবসমাজকে রক্ষা করতে, যত দ্রুত সম্ভব তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী পাস করা জরুরি।

অনুষ্ঠানে তামাক বিরোধী মায়েদের ফোরামের সদস্যবৃন্দ, গনমাধ্যমকর্মী সহ তামাক বিরোধী বিভিন্ন সংগঠন এর প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।


  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজের টিকিটের মূল্য প্রকাশ, যেভাবে কিনবেন

হত্যাচেষ্টার মামলায় অপু বিশ্বাসের জামিন

গত অর্থবছরে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ

সেনা কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসির ক্ষমতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন

নীরব ঘাতক ফুসফুুুুসের ক্যানসার, যেসব লক্ষণ বিপদের সংকেত দিচ্ছে

মিটফোর্ডে শিক্ষার্থীদের ‘শাটডাউন’ ঘোষণা

দুই মাসে ৬ হাজারের বেশি প্রবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে কুয়েত

সিইসির সঙ্গে বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধি দল

গাজায় ইসরাইলি হামলায় আরও ১১০ ফিলিস্তিনি নিহত

দুপুরের মধ্যে ঝড়বৃষ্টি হতে পারে যেসব অঞ্চলে

১০

আবু সাঈদ হত্যা ও ৬ লাশ পোড়ানোর মামলা: আসামিদের ট্রাইব্যুনালে হাজির

১১

‘অন্যায়কারী যেই হোক, আমরা প্রশ্রয় দেব না’

১২