দিন দিন জমে উঠছে বাণিজ্যমেলা। প্রথমদিকে দর্শনার্থীদের তেমন ভিড় না থাকলেও ছুটির দিনে ভিড় বাড়ছে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের। রাজধানীসহ দেশের বিভন্ন প্রান্ত থেকে আগত ক্রেতা-দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠছে মেলা প্রাঙ্গণ। গতকাল শুক্রবারসহ সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের পদচারণায় প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে মেলা প্রাঙ্গণ। সেইসঙ্গে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও কনসার্ট আয়োজনে যোগ করে ভিন্ন মাত্রা।
আয়োজক ও ব্যবসায়ীদের ভাষ্য অনুযায়ী, দিন দিন মেলায় মানুষের সমাগম বাড়ছে। অন্যান্য দিনের তুলনায় সাপ্তাহিত ছুটির দিনে মেলায় ক্রেতাদের আগমন বেশী ঘটছে। এখন শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার চাপ কম থাকায় তারাও মেলায় আসছে।
এদিকে মেলা ঘুরে দেখা গেছে, স্টলে-স্টলে চলছে হরেক রকমের অফার। হাঁক-ডাকে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন কর্মীরা। বিভিন্ন ক্যাটাগরির ৩৬২টি প্যাভিলিয়ন ও স্টল বসানো হয়েছে এবারের মেলায়। এর মধ্যে ৩৫১টিই দেশীয় প্রতিষ্ঠানের স্টল-প্যাভিলিয়ন। বাকি ১১টি স্টল ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, হংকং ও মালয়েশিয়া—এই ৭ দেশের।
এ ছাড়া জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানকে প্রাধান্য দিয়ে এবারের বাণিজ্য মেলায় স্থান পেয়েছে জুলাই চত্বর, ছত্রিশ চত্বর ও তারুণ্যের প্যাভিলিয়ন। ই-টিকিটের ব্যবস্থা থাকায় প্রবেশ পথে রয়েছে ভিন্ন ব্যবস্থা।
মেলায় বেশি ভিড় চোখে পড়েছে গৃহস্থালি পণ্যের স্টলগুলোতে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবার মেলায় বিভিন্ন মান ও ডিজাইনের গৃহস্থালি পণ্য এসেছে। ক্রেতা-দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করতে নানা রকম ছাড়ও দেওয়া হচ্ছে। এতে ভালোই সাড়া পাচ্ছেন তারা।
মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলা প্রতিদিন চলবে সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। সাপ্তাহিক ছুটির দিন খোলা থাকবে রাত ১০টা পর্যন্ত। মেলায় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য টিকিটের মূল্য ৫০ টাকা এবং ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা তাদের কার্ড দেখিয়ে বিনামূল্যে মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন।